কৃষক বিদ্রোহের কারণ : ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন প্রতিষ্ঠার পর প্রায় ১০০ বছর ধরে (১৭৫৭ – ১৮৫৭ খ্রি.) সরকার, জমিদার ও মহাজনদের অত্যাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে অনেক কৃষক ও উপজাতি বিদ্রোহ হয়েছিল। ওই বিদ্রোহগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ওয়াহাবি ও ফরাজি আন্দোলন, নীল বিদ্রোহ, সাঁওতাল বিদ্রোহ প্রভৃতি।
কৃষক বিদ্রোহের কারণ
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে কৃষক ও উপজাতিদের বিদ্রোহ ঘোষণার অনেক কারণ ছিল-
অত্যধিক রাজস্ব আদায়
ব্রিটিশ কোম্পানি রাজস্ব আদায়ের অধিকার লাভ করার পর কৃষকদের কাছ থেকে অত্যধিক হারে রাজস্ব আদায় করতে শুরু করে। ফলে শোষিত কৃষকরা কোম্পানির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
সরকারি কর্মচারী ও পুলিশি অত্যাচার
সরকারি কর্মচারী এবং ব্রিটিশ পুলিশ কারণে-অকারণে কৃষক ও উপজাতিদের উপর অত্যাচার করত। তৎকালীন তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় ১৮ ধরনের অত্যাচারের কথা উল্লিখিত আছে। অত্যাচারের ফলে তারা ব্রিটিশবিরোধী হয়ে উঠেছিল।
====>>> ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভের গুরুত্ব
জমিদার ও মহাজনদের শোষণ
জমিদার ও মহাজন শ্রেণির শোষণ কৃষক ও উপজাতি বিদ্রোহের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল। ব্রিটিশ কোম্পানি ও জমিদারদের জোরপূর্বক খাজনা আদায়ের ফলে কৃষকরা মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হত এবং ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ে তারা মহাজনের শোষণের শিকার হত।
বাণিজ্যিক ফসল উৎপাদনে বাধ্যবাধকতা
ব্রিটিশ কোম্পানি জোর করে কৃষকদের বাণিজ্যিক ফসল উৎপাদন করতে বাধ্য করত। এই বাণিজ্যিক ফসলগুলির মধ্যে প্রধান ছিল নীল, তুলা, পাট প্রভৃতি। ব্রিটিশরা খাদ্যশস্য চাষের জমিতে এই বাণিজ্যিক ফসল উৎপাদনে কৃষকদের বাধ্য করলে তারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
দেশীয় শিল্পের অবক্ষয়
কোম্পানির আমলে দেশীয় শিল্প ধ্বংস হলে দেশীয় শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পী ও কারিগররা কৃষির সঙ্গেঙ্গ যুক্ত হয়ে পড়েছিল। ফলে কৃষক বিদ্রোহে তারাও যোগ দিয়েছিল
====>>> রাশিয়ার ভূমিদাস প্রথার তীব্রতা